1. [email protected] : admi2017 :

বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ারবাজারে পঁচা কোম্পানির দাপট

শেয়ারবাজারে পঁচা কোম্পানির দাপট

ফাইল ছবি

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বৃদ্ধির তালিকায় একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে পঁচা (‘জেড’ গ্রুপ) কোম্পানি।

এ দিন দাম বৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠানই স্থান করে নিয়েছে সাতটি। এ ছাড়া শীর্ষ দশে থাকা বাকি তিনটির মধ্যে লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি।

শেয়াবাজারে দুর্বল কোম্পানির এমন দাপটকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শেয়ারবাজারে একের পর এক পতন হলেও বিনিয়োগাকরীরা তা থেকে শিক্ষা নেয়নি। এখনো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা গুজব নির্ভর বিনিয়োগ করছেন।

তাদের মতে, গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগের ফলে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে একটি চক্র ফায়দা লোটে। কিন্তু গুজবের ভিত্তিতে যারা বিনিয়োগ করেন তাদের বড় অংশই লোকসানে পড়েন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে যে অস্বাভাবিক উত্থান ও পতন হয়েছিল তার অন্যতম কারণ ছিল গুজব ভিত্তিক বিনিয়োগ।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রোববার ডিএসইতে শেয়ার দাম বাড়ার দিক থেকে শীর্ষ স্থান দখল করে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। লোকসানে থাকা জেড গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।

শীর্ষ দশে থাকা জেড গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- সাভার রিফ্রাক্টরিজের ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, জিল বাংলা সুগার মিলসের ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এ ছাড়া লোকসানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসও দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। ‘এ’ গ্রুপে থাকা এ কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন (চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কোম্পানির মানদণ্ড নির্ধারণ করতেই বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। যে সকল কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল তারাই ‘জেড’ গ্রুপে স্থান পায়। এখন কেউ যদি ‘জেড’ গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগ করে লোকসানে পড়ে তাহলে দায় তাকেই নিতে হবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বখতিয়ার হাসান বলেন, দাম বাড়ার তালিকায় দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য প্রমাণ করে যে, আমাদের বিনয়োগকারীরা যথেষ্ট সচেতন না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে খুব একটা সুফল পাওয়া গেছে বলে মনে হচ্ছে না। যদি বিনিয়োগকারীরা শিক্ষায় নিতে তাহলে গুজবের ভিত্তিতে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতো না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com